অম্বিকাগিৰি ৰায়চোধুৰী || ১৮৮৫-১৯৬৭

        মই বিপ্লৱী, মই তাণ্ডৱী
মই        কাল-বিজয়ী বিপ্লৱী,
মই        কাল-বিনাশী তাণ্ডৱী;
                আজি বিপ্লৱ তোলোঁ ক’ত?
                মই তাণ্ডৱ তোলোঁ ক’ত?
সৃষ্টিৰ স্নায়ূ ধুনাধুন কৰি উতলি উঠিছে বিপ্লৱ মোৰ
                উতলি উঠিছে বিপ্লৱ,
ব্ৰহ্মাণ্ডৰ মেৰু প্ৰকম্পি দাপিছে দাৰুণ তাণ্ডৱ মোৰ
                দাপিছে দাৰুণ তাণ্ডৱ |
নভো-মহানীল চিৰাচিৰ কৰি,
প্ৰলয়-ভঙ্গী উঠে তাৰ চৰি,
স্বৰ্গ-মৰ্ত্ত্য-ৰসাতল ৰেখা
                মোহাৰি মুচৰি কৰি দিলে একাকাৰ;
ক্ষিত্যপ-তেজ-মৰুত-ব্যোমৰ
                নোহোৱা কৰিলে চিন-চাপ পাৰাপাৰ,
কি পৰিণামেৰে ক্লান্তিত পৰি ক’ত বা হয় সি ক্ষান্ত!
নাপাওঁ বিচাৰি পাত্ৰ-আধাৰ য’ত কৰোঁ তাক শান্ত ||

সৌৱা
বিলাসালসৰ ক্লেদী পৰশত
জীৱন-দীপ্ত কৰ্ম্মোল্লাসী পুলকোত্সৰ ছন্দ পৰিছে ভাগি,
আত্মানন্দী সেৱা-হৰষত
গ্লানিৰ জটিল বেদনা জমিছে মত্ত খকৰ
                        বজ্ৰ-আঁচোৰ লাগি,-
তাতে তোলোঁনেকি তাণ্ডৱ মোৰ,
                        তাতে তোলোঁনেকি বিপ্লৱ?

আৰুচোন সৌৱা!
কুহকী ৰূপৰ কূট মাধুৰীয়ে
পৱিত্ৰতাৰ আজলী শিশুক উজটি খুৱাই কৰে
                        কেনে লটিঘটি,
প্ৰৱঞ্চনাৰ ধূৰ্ত্ত ফাকিয়ে
উৰ্দ্ধগামিনী প্ৰগতি-গতিক মাৰঘাত মাৰি
                        কৰি দিয়ে অধোগতি;
তাতে তোলোঁনেকি বিপ্লৱ মোৰ, তাতে
                        তোলোঁনেকি তাণ্ডৱ?

আৰু সেইফালে
কয়, লিখে এক ,কৰে-ধৰে আন,
লুটি-পুটি গায় শান্তিৰ গান,
দুৰ্ম্মদ য্ত অনীতি আচৰি তুলিকা বুলাই                                    
                        দেখুৱায় মহাকবি,
ভিতৰত পুহি দুষ্ট পিশাচ বাহিৰত আঁকে
                        মোহিনী কলাৰ ছবি;
তাতে তোলোঁনেকি তাণ্ডৱ মোৰ,
                        তাতে তোলোঁনেকি বিপ্লৱ?

সৌৱাচোন আৰু
পদ-মৰ্য্যাদা-ক্ষমতাৰ খকে
মানৱীয়তাকে গিলে ডিঙিলৈকে,
        আত্মাৰ ক্ষুধা ভৰিৰে মোহাৰি
                যৌন ক্ষুধাৰ পিশাচী ৰাপত মত্ত,-
কৰ্ত্তব্যৰ গেড়ি তল কৰি
        বলিয়া চিঞৰি কেৱল দাবীৰ স্বত্ব;
তাতেনেকি মোৰ তোলোঁ তাণ্ডৱ বিপ্লৱ তোলোঁ মোৰ?
                কোনফালে চাই কোনফালে লৰোঁ
                কোনটিকে এৰি কোনটিক ধৰোঁ?
                এটাক ধৰিলে আনফালে পুনু
                ক্ষিপ্ত-দাপোৰে উদ্ভেদ উঠি আহে;
        মোৰ লৰা-ঢপৰাৰ দুৰ্গতি চাই
                বিদ্ৰূপ-বাণ হানি সকলোৱে হাঁহে |

আৰু দেখোঁচোন!
প্ৰগতি, শিল্প-কলাৰ আঁৰত
লুকাই লালসা ভৰা সাগৰত
        কামনা-দানৱে ধুমুহা তুলিছে
                উগাৰি তীব্ৰ তেজাল ক্লেদৰ ঢউ,
        হাঁহিছে বিকট কল্মষ সানি
                কৰি বিষাক্ত জীৱন-মাধুৰি-মউ |
তাতে তোলোঁনেকি তাণ্ডৱ মোৰ, তাতে তোলোঁনেকি বিপ্লৱ?

ইকি!
মোতেচোন দেখোঁ সকলোবিলাকে,
উঠিছে, পৰিছে, খেলি জাকে জাকে!
        বাহিৰত কিয় পৰিছে দৃষ্টি?
                ভিতৰত দেখোঁ স্বৰ্গ-নৰক মোৰ |
        সৃষ্টি, স্থিতি, প্ৰলয়, বিনাশ,
                নিজতেই দেখোঁ ঘটিছে সকলোবোৰ?

নিজক এৰি দি কিয় তেনেহ’লে,
আনলৈ চাই অভিযোগ চলে?
        জনে জনে হ’লে ক্লেদাপসৰণ,
                গোটেই জগত হ’ব সুবিমল শুদ্ধ,
উতলা ৰোষেৰে আনল’কে চাই
                নৰ’ব কাৰণ মৰিবলৈ হৈ ক্ৰুদ্ধ |
তোল তেনেহলে তোল তাণ্ডৱ ,
বিৰাট বিপুল মহা বিপ্লৱ;
প্ৰথমে নিজৰ অহং-সিন্ধু মন্থন কতি, নাৰকী কলুষ-ক্লেদ
ধ্বংসি, বিনাশি, তোল জীৱনত পুণ্য-লৱনু কৰি
                                অহামিকা ছেদ |
তাৰ লগে লগে সীমা-অসীমৰ সংযোজনাৰ সাফটো
                                গচকি খচি,
নিৰ্ম্মল কৰি সৃষ্টি-কলাক কলুষিত কৰি নৰক
                                যি আছে পচি |